বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রং ভিন্ন
ভিন্ন হয়। কিন্তু যে দেশ যে রং এরই পাসপোর্ট দিক না কেন, সেটা অবশ্যই
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এর কাছ থেকে পাসপোর্ট
এর রং আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়।
![]() |
তবে
সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন শেড
এর হয়। বাংলাদেশে সাধারণভাবে সকলের জন্য সবুজ রং এর পাসপোর্ট চালু
থাকলেও, দেশে আরো দুটি রং অর্থাৎ নীল এবং লাল পাসপোর্ট চালু রয়েছে।
সবুজ পাসপোর্ট
ইমিগ্রেশন
ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক মিঃ সাঈদ বলেছেন, সবুজ পাসপোর্টকে বলা হয়
অর্ডিনারি পাসপোর্ট। “এই পাসপোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের সকল সাধারণ নাগরিক এবং
সরকারি চাকরিজীবীর জন্য। এক্ষেত্রে জন্মসূত্রে এবং বৈবাহিক উভয় সূত্রে
বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য এই সবুজ পাসপোর্ট।” সবুজ পাসপোর্টে বিদেশে
গমনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রয়োজন হয়।
নীল পাসপোর্ট
নীল
রং এর পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোন কর্মকর্তা
বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করা
হয়। এই পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন বা
গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রয়োজন হয়। এই নীল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা
অন্তত ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
মিঃ
সাঈদ বলেছেন, “২০১০ সালের আগে এই নীল পাসপোর্ট ছিল না, ওই বছর পর্যন্ত
সবুজ পাসপোর্টের মধ্যেই হাতে লিখে সরকারি অনুমোদন দেয়া হতো।” তবে, সরকারি
কাজ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা যদি বিদেশ গমন করতে চান তাহলে তারা নীল
পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
লাল পাসপোর্ট
লাল
পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট
পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সদস্যগণ, সংসদ সদস্য এবং
তাদের স্পাউস অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী।
সেই
সঙ্গে উচ্চতর আদালতের বিচারপতিগণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ,
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এবং বিদেশে বাংলাদেশি
মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পান।
লাল
পাসপোর্ট যাদের আছে, তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোন ভিসা প্রয়োজন হয় না।
তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান। ডিপ্লোম্যাটিক বা
কূটনৈতিক পাসপোর্ট সব দেশেই লাল রং এর হয়ে থাকে।
সূত্র: বিবিসি
Tags
News
