ঘটনাটি আমার সাথে আবার ঘটেছিল। আমি একজন যোদ্ধা ছিলাম। আমি কোন এক যুদ্ধ শিবিরে শুয়ে ছিলাম। তখনো আমার মন অস্থির কিন্তু শরীর নিস্তেজ। যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল… তখন কি করা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। আমার কি জেগে ওঠা উচিত বা মেইল করা উচিত বা ফলদায়ক কিছু করা উচিত নাকি আরো কিছুক্ষণ ঘুমানো উচিত?
ঐসময়ের প্রথম দিকের বেশির ভাগ দিন গুলোতে এই যুদ্ধ হতো না। আমি এখনকার চেয়ে ভাল ছিলাম।
কিন্তু এ সময় একজন সাহসী শিকারীর তার সফলতা ছিনিয়ে আনার জন্য প্রত্যেকটা মুহূর্তে প্রেরণার উৎস প্রয়োজন। আমারো তাই দরকার ছিল প্রচন্ড।
ঠিক সেই সময় আমি প্রতিদিন সকালে নিজে নিজেকে মোটিভেটেড করার চেষ্টা করতাম। নিজেকে নিজে সাহস দিতাম। এর ফলে একটা সময় আমার ভেতরের ক্লান্তিগুলো আমাকে আর ক্লান্ত করতে পারতো না।
মোটিভেশনের ফলে আমার শরীর মন দুটোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাকে সাপোর্ট দেয়া শুরু করেছিলো এবং আমার যুদ্ধ ক্ষেত্রে সফল বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা পেয়েছিলাম।
তুমি দেখো, আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই সত্যিই সফলতা প্রয়োজন এবং সেই এগিয়ে যাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন হয়।ভেতরগত ভাবেই আমরা ৯৯.৯৯ ভাগ সময়, কাজের ক্ষেত্রে পশুর মত হয়ে যাই যে প্রচন্ড মাত্রায় নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখি। কিন্তু একটা দিন এমন এক সময় আসে যখন আমাদের কাছে সবই অন্ধকারময় মনে হয়। যেসব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য আমরা পূরণ করার জন্য ঠিক করে রেখেছিলাম তার চেয়ে অযথা কাজ গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও লক্ষনীয় হয়ে ওঠে আমাদের কাছে। এই অমনোযোগীতার রোগ কে দূর করার জন্য প্রয়োজন প্রেরণা।
সকাল বেলা কিভাবে নিজেকে মোটিভেট করা যায় তা জানার আগে জানতে হবে যে, কেন মোটিভেশন প্রয়োজন। তার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
কারণ-১ঃ একমাত্র তুমিই পারো এমন একটা জীবন তৈরি করতে যা তুমি চাও। কিন্তু শুধুমাত্র যদি তুমি এই কাজের পেছনে যথেষ্ট পরিশ্রম দিতে পারো এবং ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে পারো।
কারণ-২ঃ কিছু চাকরি, কিছু মানুষ এবং কিছু বন্ধু কে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিতে হবে যে, তারা তোমার ব্যপারে ভুল ছিল।
কারণ-৩ঃ আপনার বাবা-মা, আত্নীয়-স্বজন এবং বন্ধুরা আপনাকে সফল দেখতে চায়।
এমন আরো অসংখ্য কারণ রয়েছে। এসব কারণ গুলোর জন্য হলেও তোমাকে সফল হতেই হবে। আর সফল হতে গেলে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়। ঠিক সেই কঠিন মুহূর্ত গুলোকে কাটিয়ে ওঠার জন্যই প্রয়োজন হয় প্রেরণা।
এখন বলতে পারো এই প্রেরণা সকালেই কেন প্রয়োজন?
কথায় আছে “সকালে হয় দিনের দেখায়” সুতরাং তোমার সকাল টা যদি পজিটিভ কোন চিন্তা দ্বারা শুরু হয় তবে সারা টা দিন খুব পজিটিভ কাটবে আশা করাই যায়।
কথায় আছে “সকালে হয় দিনের দেখায়” সুতরাং তোমার সকাল টা যদি পজিটিভ কোন চিন্তা দ্বারা শুরু হয় তবে সারা টা দিন খুব পজিটিভ কাটবে আশা করাই যায়।
আমার সফলতার রাস্তায় আমি এমন অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি কিছু উপায় বলবো যাতে করে তুমি এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারো এবং সফল হতে পারো ।
সকাল বেলার প্রেরণা কিভাবে পাওয়া যায়ঃ
১। একটা অভ্যাস বানিয়ে ফেলো যা তুমি প্রতিদিন সকালে করবে। যেমনঃ সকালে উঠেই ব্রাশ করা, জুতা পরিষ্কার করা। এর মানে হলো এই কাজ দুটি তোমাকে প্রতিদিন সকালে করতেই হবে।
২। কিছু সময় ইউটিউবে প্রেরণামূলক ভিডিও দেখো। এসব ভিডিও দেখে যেসব উপদেশ মূলক কথা ভাল লাগে সেসব নোট করে রাখো যাতে পরে তোমাকে পজিটিভ মোটিভেশন দেয়।
৩। মেডিটেশন করো এবং ভাবো কিসের জন্য তুমি তোমার জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ।
৪। মাঝে মাঝে নিজেকে উৎসাহিত করার জন্য নিজের লেখা কিছু নোট পড়ো, বিভিন্ন সফল এবং ব্যর্থ ব্যক্তিদের জীবনী পড়ো। এতে করে তোমার ছোটখাটো হতাশা গুলো আর থাকবে না।
৫। প্রতিদিন কিছুটা সময় ইয়োগা করো। এতে করে তোমার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং মাথা ঠান্ডা থাকবে। অনেক বেশি সতেজ অনুভব করবে।
৬। প্রতিদিন সকালে ভাবো- কোন কাজটা তুমি করেছো এবং কেন করেছো , কোনটা করবে এবং কেন করবে? কিভাবে করবে?
৭। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিজেকে প্রশ্ন করো গতকাল থেকে আজ তুমি কতটুকু সুখী বা দুঃখী এবং তার পেছনের কারণ কি? কি করলে তোমার দুঃখ কমে এবং আনন্দ বাড়ে। সেই কাজ গুলো পরের দিনের তালিকায় যোগ করো বা বাদ দাও।
৮। প্রতিদিন সকালে উঠে ভাব যে কারা তোমাকে ভাল কাজে সুযোগ দিচ্ছে, কারা তোমার স্বপ্নকে ব্যঙ্গ করছে, কারা তোমাকে বলছে যে তুমি সফল হবে না। তাদের কে যোগ্য উত্তর দেবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো। নিজেকে মোটিভেট করো এবং এগিয়ে যাও।
সবশেষে, নিজেকে ভালবাসো, নিজের স্বপ্ন কে ভালোবাসা। নিজের স্বপ্ন কে বাচিঁয়ে রাখার জন্য প্রতিদিন সকালে নিজেকে মোটিভেট করো। নিজের জন্য বাঁচো।
মানুষ বাচেঁ আশায়। তাই আশাহত না হয়ে দিনের শুরুটা করো অনুপ্রেরণা দিয়ে। জীবনে অনুপ্রেরণা থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়।
জীবন সুন্দর, তাই আপনার জীবন যাপন.
Tags
জীবনযাপন
