অনলাইন ডেক্স:: প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অবকাঠামো খাতের প্রধান কাঁচামাল সিমেন্টে ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) চূড়ান্ত দায় হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) মনে করে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এ ছাড়া সিমেন্ট খাত বর্তমানে ব্রেক ইভেন্টেও নেই। লোকসান দিয়ে মালিকরা কারখানা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বিশ্বের কোনো দেশে অগ্রিম আয়করকে চূড়ান্ত দায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিএমএর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. আলমগীর কবির, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, ‘চাপিয়ে দেওয়া এআইটির ফলে দেশের সিমেন্টশিল্প বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। এর ফলে দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পসহ উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘কভিড-১৯-এর ফলে সিমেন্টশিল্প তিন হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে। ৪২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। গত তিন মাস ৯০ শতাংশ কারখানা বন্ধ ছিল। বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানা কোনো রকমে চলছে।’
আলমগীর কবির আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ শতাংশ হারে এআইটি ধরা হয়েছে। বর্তমানে ৩ শতাংশ নয়; এই খাত ১ শতাংশও লাভ করতে পারে। সেখানে ৩ শতাংশ এআইটি কোথা থেকে দেবে? এ ছাড়া শুধু সিমেন্ট খাতেই এআইটি দেওয়া হয়েছে। তাও আবার চূড়ান্ত দায় হিসেবে। এমন বৈষম্য কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’ আলমগীর কবির বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব কোষাগারে সব সিমেন্ট কম্পানির ৭৫০ কোটি টাকা অসমন্বিত অগ্রিম আয়কর জমা পড়ে আছে। এই টাকার যদি ১০ শতাংশ হারে সুদ বিবেচনায় নেওয়া হয় তবে উদ্যোক্তারা প্রতিবছর ৭৫ কোটি টাকা হারাচ্ছে। এ ছাড়া মোট দেশজ প্রবৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখে সিমেন্ট খাত। প্রতিবছর সরকার এই খাত থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার সিমেন্ট খাতের চাওয়া-পাওয়াকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে উল্লেখ করে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমানে সিমেন্ট খাত ব্রেক ইভেন্টেও নেই। লোকসান দিয়ে মালিকরা কারখানা চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমরা কেন এইআইটি দেব? এআইটি প্রত্যাহার করা হোক।’
Tags
Business
